ভোগ্যপ্রাণীর মধ্যে মাছ বাংলাদেশের মানুষের অন্যতম প্রধান খাদ্য এবং আমিষের প্রধান উৎস। সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় ২৫ হাযার প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। বাংলাদেশের মিষ্টি পানিতে ২৬০ প্রজাতির এবং লোনা পানিতে ৪৭৫ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। নদী-নালার আধিক্য থাকায় প্রাকৃতিকভাবে এদেশে বিপুল পরিমাণ মাছ পাওয়া যায়।
উপকারিতা:
পুষ্টিগুণে ভরপুর: মাছ ভিটামিন এ, ডি, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি চমৎকার উৎস।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায়: মাছের পুষ্টি উপাদান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে: মাছের ভিটামিন এ চোখের জন্য খুবই উপকারী।
হাড় ও দাঁত মজবুত করে মাছে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
মানসিক চাপ কমায়: নিয়মিত মাছ খেলে মানসিক চাপ কমে।
ত্বকের জন্য ভালো: মাছের প্রয়োজনীয় উপাদান ত্বককে ময়েশ্চারাইজড এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।
অপকারিতা :
পারদ দূষণ: কিছু মাছে উচ্চ মাত্রার পারদ থাকতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
অ্যালার্জি: কিছু মানুষের মাছ বা সি-ফুডের প্রতি অ্যালার্জি হতে পারে।
অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট: কিছু মাছ, যেমন - পাঙ্গাস, এগুলিতে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট বেশি থাকে।
অতিরিক্ত লবণ: কিছু মাছ, বিশেষ করে শুকনো মাছে অতিরিক্ত লবণ থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপের কারণ হতে পারে।
দূষিত পদার্থ: কিছু মাছ দূষিত পানি থেকে আসার কারণে ক্ষতিকর পদার্থ বহন করতে পারে।
সতর্কতা:
হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা মাছ খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে মাছ বা সি-ফুড খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
অতিরিক্ত মাছ খাওয়া পরিহার করুন, বিশেষ করে যেগুলিতে পারদ বা অন্যান্য দূষিত পদার্থ থাকার সম্ভাবনা বেশি।
ছোট মাছ এবং সামুদ্রিক মাছ বেছে নিন, যা সাধারণত কম দূষিত হয়।
সপ্তাহে ২-৩ বার মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। পুষ্টিবিজ্ঞানীরা পরামর্শ দেন
:
:
:
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ