"পাঁকাল মাছ" বলতে সাধারণত "প্যাঁকা" বা "বাম" মাছকে বোঝায়। এটি একটি পাঁকযুক্ত পরিবেশে বসবাসকারী মাছ এবং এর শরীর সাধারণত লম্বা ও আঁশযুক্ত হয়ে থাকে। এই মাছটি বাংলাদেশের স্থানীয় এবং এটি "জিওল মাছ" হিসাবেও পরিচিত, কারণ এটি ফুলকা ছাড়াও বাতাস থেকে অক্সিজেন নিতে পারে।
"প্যাঁকা" বা "বাম" মাছের কিছু বৈশিষ্ট্য ও তথ্য নিচে উল্লেখ করা হল
আবাসস্থল: পাঁকাল মাছ সাধারণত পুকুর, খাল, বিল এবং নদীর মতো শান্ত বদ্ধ জলাশয়ে বাস করে। এরা পাঁকযুক্ত স্থানে থাকতে পছন্দ করে।
খাবার: এরা বিভিন্ন ধরণের পোকামাকড়, ছোট জলজ প্রাণী এবং জলজ উদ্ভিদ পছন্দ করে।
উপকারিতা: পাঁকাল মাছে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান, যেমন - প্রোটিন, ভিটামিন, এবং খনিজ পদার্থ বিদ্যমান। এছাড়া, এতে ডিএইচএ এবং ইপিএ (DHA & EPA) নামক দুটি প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা হৃদরোগ এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য উপকারী।
পাঁকাল মাছে ফ্যাটের পরিমাণ কম
প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে এখনও নদী ও খালবিলে এই মাছ জন্মায়। পাঁকাল মাছে চর্বি থকে নামমাত্র৷ আর প্রোটিনের ভাঁড়ার। গুণমাণে ভাল এবং মায়োফাইব্রিলার প্রোটিনের অংশ অনেকটাই বেশি। অর্থাৎ, স্বাদের সঙ্গে পুষ্টিগুণও মেলে এই মাছে। এখন পাঁকাল মাছ বাজারে দেখতে পাওয়া যায় না। তবে এই মাছের গুণ কিন্তু বহু। আসুন জেনে নিই।
একাধিক ভিটামিন রয়েছে এই মাছে
পাঁকাল মাছ মূলত এক ধরনের জিওল মাছ। এই মাছকে ইংরেজিতে মাড ফিস-ও বলা হয়ে থাকে। আবার গ্রামবাংলার সাধারণ মানুষ এই মাছটিকে বাম মাছ বলেও চিনে থাকেন। এই মাছ পুষ্টিগুণে ভরপুর। এই মাছে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন E, ভিটামিন D, ফসফরাস, আয়োডিন, সেলেনিয়াম জাতীয় উপাদান।
সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ