logo

মিষ্টি না নোনতা, কোন জলের মাছে রয়েছে বেশি পুষ্টিগুণ ?

Blog single photo

চিকিৎসা বিজ্ঞান জানাচ্ছে, মাছ খেয়ে আমি-আপনি শরীরের উপকারই করি। এই খাবারের মধ্যে একাধিক গুণ রয়েছে। শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে দিতে পারে মাছ। তাই ডায়েটে নিয়মিত মাছ রাখা দরকার। মাছে রয়েছে ফার্স্টক্লাস প্রোটিন। এর মাধ্যমে দেহে প্রোটিনের ঘাটতি দূর হয়। এছাড়া এতে আছে আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। তাই মাছ নিয়মিত খাওয়া উচিত।

ছোটবেলায় সাধারণত আমরা মিষ্টি জলের মাছই খেয়ে থাকি। রুই, কাতলা,ভোলা ভেটকি, কই ইত্যাদি হল মিষ্টি জলের মাছ। এই ধরনের মাছ কিন্তু অত্যন্ত উপকারী। এই সকল মাছে আপনি যেমন প্রোটিন পাবেন, ঠিক তেমনই ফোলেট, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়ামের মতো উপকারী উপাদানও মিলবে। ফলে রক্তাল্পতা সারে, হাড়ের শক্তিবৃদ্ধি হয়। এমনকী পেশি হয় সুগঠিত। অতএব এই ধরনের মাছ খেতেই হবে।


মাছ সমুদ্রের হোক বা মিষ্টি জলের, সবই পুষ্টিকর। তবে দেখা গিয়েছে যে প্রতি ১০০ গ্রাম সামুদ্রিক মাছে প্রোটিনের পরিমাণ সামান্য বেশি থাকে। তাই পকেটে কুলালে পমপ্লেট, ইলিশ মাছ অবশ্যই রসিয়ে রান্না করে খেতে পারেন। তবে সবথেকে ভালো হয় স্যালমন, টুনা জাতীয় মাছ খেতে পারলে। এতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি  কিন্তু মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে। এমনকী হার্ট ভালো রাখে। ফলে শরীর সুস্থ রাখতে চাইলে এই ধরনের মাছকে নিত্যসঙ্গী করে নিন।।


দিনে ১০০ গ্রাম মাছ খাওয়া যায়। এর বেশি পরিমাণ খাওয়ার একদমই প্রয়োজন নেই। সেই হিসাবে দেখতে গেলে দুটি মাঝারি সাইজের মাছের পিস খাওয়াই যায়। এতেই শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মিটবে। তবে প্রোটিনের ঘাটতি মেটানোর জন্য শুধুমাত্র মাছের উপর নির্ভর করলে চলবে না। বরং খেতে পারেন ডিম, সোয়াবিন, মাংস। সবকিছু মিলিয়ে-মিশিয়ে খেলেই লাভ পাবেন।



স্বাস্থ্যকর উপায়ে মাছ রান্না করুন। এক্ষেত্রে সবার্ধিক পুষ্টি পেতে ঢেকে ঢেকে রান্না করতে হবে। আর বেশি তেল দিয়ে অবশ্যই মাছ রান্না করবেন না। এতে সমস্যা বাড়বে। এমনকী মাছের পুষ্টিগুণও কমবে। তাই মাছে তেল কম দিন।

এছাড়া কারও সিকেডি বা ইউরিক অ্যাসিডের মতো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে মাছ খান। কারণ এনাদের সারাদিন প্রোটিন মেপে খেতে হয়।



আপনার মতামত লিখুন

Top